মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ভোলার উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রতি স্মারকলিপি জুলাই যোদ্ধার অনুদান পেলেন যুবলীগ নেতা, তদন্ত কমিটি গঠন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ কান উৎসবে প্রথম টেলিভিশন নারী সাংবাদিক শাহরিন জেবিন সরকারী খোলা থাকার নির্দেশ অমান্য করে তালা ঝুলছে নিকারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়: হাসনাত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সহসভাপতি রানার পিতা টি এম মহশীনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল উদয়ন আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন সচেতনতা বাড়াতে ৮০০ ছাত্রীর মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ
নোয়াখালীর সদর-সুবর্ণচরে তৃণমূলের দাবির মূল্যায়ন চান নেতাকর্মীরা

নোয়াখালীর সদর-সুবর্ণচরে তৃণমূলের দাবির মূল্যায়ন চান নেতাকর্মীরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদের ২৭১ নম্বর আসন নোয়াখালী-৪ সদর ও সুবর্ণচর উপজেলা নিয়ে গঠিত। পুরো জেলার রাজনীতি সদর থেকেই নিয়ন্ত্রণ হয় বলেই আসনটি সব দলের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে চ্যালেজিং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বার্তায় জেলায় নড়ে-চড়ে বসেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। চ্যালেজিং এই নির্বাচনে জেলার গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে নোয়াখালী-৪ এ তৃণমূলের দাবির মূল্যায়ন চান দলীয় নেতাকর্মীরা।নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষিত, ভদ্র ও ক্লিন ইমেজের সাংগঠনিক নেতা হিসেবে জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভাতুষ্পুত্র এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের পক্ষে একাট্টা হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সাংগঠনিকভাবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন আবদুল মালেক উকিলের ভ্রাতুষ্পুত্র আবদুজ জাহের এবং সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন আবদুল মালেক উকিলের কনিষ্ঠ পুত্র বাহার উদ্দিন খেলন।
সম্পতি ক্ষমতার দাপটে একক আধিপত্য বিস্তার করায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে অপরাজনীতি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাকুরি বাণিজ্য, দলে ব্যক্তিগত ও বির্তকিত লোকদের প্রদান্য ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তাঁর ওই বক্তব্যের কারণে দেশ ব্যাপি আলোচিত-সমালোচিত হয়ে ওঠেন নোয়াখালী-৪ আসনের এই সাংসদ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পায় একরামুল করিম চৌধুরী ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের লাল তালিকার সংসদ সদস্যদের মধ্যে অন্যতম একজন।কাদের মির্জার বক্তব্যের পর একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানোয় তাঁর রাজনীতির প্রভাবে কিছুটা ভাটা পড়ে। এতে তাঁর বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে বিপক্ষ বলয়। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নোয়াখালী-৪ আসনে সভা-সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃণমূলের কর্মীদের চাওয়ায় একাধিক প্রার্থীর নাম ওঠে এসেছে।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে বর্তমান এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাইরে দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভ্রাতুষ্পুত্র এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেলও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।জেলার সদর-সুবর্নচরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন ধারাবাহিক উন্নয়ন করলেও দুর্নীতি, টেন্ডারবাজির কারণে সদর-সুবর্ণচরে টেকসই উন্নয়ন হয়নি। চাকুরি বাণিজ্য, স্বজন প্রীতির কারণে দলীয় সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় সাংসদের কাছে মূল্যায়িত হয়েছেন অনুপ্রবেশকারীরা। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তন চান তারা। তাদের দাবি শিক্ষিত, ভদ্র ও ক্লিন ইমেজের সাংগঠনিক নেতা হিসেবে জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভাতুষ্পুত্র এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনকে দলীয় মনোনয়ন দিলে নৌকার জয় সুনিশ্চিত হবে।সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বাবলু বলেন, আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে প্রয়োজন স্মার্ট নেতৃত্ব। বর্তমানে নোয়াখালীতে অসুস্থ্য রাজনীতি চলছে, সেটাকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে জেলা সদর থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে যোগ্যতা সম্পন্ন ক্লিন ইমেজের স্মার্ট ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে দল এবং জনগণ উপকৃত হবে।নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এক শীর্ষ নেতা ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি বলেন, বর্তমান সাংসদ ত্যাগী কর্মীদের মূল্যয়ন করেননি। মাঠের কর্মীরা পরিবর্তন চায়। সেই ক্ষেত্রে, একরামুল করিম চৌধুরীর বাহিরে মাঠে ভোট করার মতো অবস্থান আছে জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভাতুষ্পুত্র এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের। তিনি দক্ষ একজন সংগঠক, রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ক্লিন ইমেজ।গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মন্তব্য করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের বলেন, এখানে ভোট করার মতো যোগ্য অনেকেই রয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তে যিনি মনোনয়ন পাবেন আমরা তার জন্য ভোট করবো।সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জাহের বলেন, একরামুল করিম চৌধুরী টানা তিন বার এমপি হওয়ার পরও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈরী আচরণ করেছেন। অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরীর মাধ্যমে একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। এখন বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষ পরিবর্তন চায়। এখানকার দলীয় নেতাকর্মী ও বাসিন্দাদের চাওয়া হলো, জেলা হেডকোয়ার্টারের স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে তৃণমূল থেকে ওঠে আসা ক্লিন ইমেজের অধিকারী শিহাব উদ্দিন শাহিনকে দলীয় মনোয়ন প্রদান করলে আসনটি পুনরায় আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে।জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, তৃণমূলের দাবি হচ্ছে, নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনা ও নোয়াখালীর অভিভাবক প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের এই দুই উপজেলার স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে যাকেই মনোনয়ন দেবেন, আমরা পাস করিয়ে আনব কথা দিলাম। এই ক্ষেত্রে আমি আমার প্রাণ প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন চাইব। তবে দল যদি অন্য কাউকেও মনোনয়ন দেয়, আমি দলের পক্ষে কাজ করবো।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com